রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল নগরীতে বেসরকারি ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। গত ২০ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লামিয়া আক্তার সায়মা (২২) নামে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়
তিনি ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। লামিয়া বাবুগঞ্জ উপজেলা চাঁদপাশা ইউনিয়নের অর্জুন মাঝি গ্রামের শাজাহান মোল্লার কন্যা। ওই দিন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ইন্টার্ন করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি। রাত ৮টার দিকে তার সহপাঠীরা ছাত্রীনিবাসে ফিরে লামিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের ওপর তাগিদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি গরিব শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। লামিয়া মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। কারো সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক কিংবা কোনো বিরোধ ছিল না। পারিবারিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে কয়েক দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন লামিয়া।
এই মৃত্যুর ঘটনায় কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নার্সিং কলেজটি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানান, বরিশাল সিঅ্যান্ডবি রোডে অবস্থিত ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজে প্রায় সময় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের এমন চাপ প্রয়োগে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। স্বাভাবিক সুযোগ-সুবিধা না দেয়ায় শিক্ষার দিকে মনোযোগ না হয়ে তারা হতাশভাবে দিন যাপন করে। নিহত লামিয়ার মামা জাহাঙ্গীর আলম নয়া দিগন্তকে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা পাবে। টাকার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ অনেকবার পরিশোধ করার জন্য বলেন। এ জন্য লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করতে পারে এমনটা ছাড়া আর কোনো কারণ দেখছি না।সুত্র ,নয়াদিগান্ত
কয়েক মাস আগে এই কলেজে রিয়া নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্দেশে গলায় ফাঁস দিলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা দেখে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে সময় অভিযোগ উঠেছে রিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজে প্রায়ই নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। গত কয়েক মাস আগেও এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে সহপাঠীদের সহযোগিতায় বেঁচে যায় ঐ ছাত্রী।
গত বছর পরিচালক মো: জহিরুল ইসলামের সাথে এক ছাত্রীর অশ্লীল ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়ে যায়। তখন সময় মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়। বর্তমানে এই কলেজটি দেখাশোনা করেন পরিচালক মো: জহিরুল ইসলাম স্ত্রী মেহেরুন্নেছা।সার্বিক বিষয়ে জানতে ডিডব্লিউএফ কলেজের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হলেও কেউ রিসিভ করেননি।
Leave a Reply